
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মধ্যরাতে মহেশ্বরী চক্রবর্তী নামের বেদিয়াপাড়ার এক কুকুরপ্রেমী যুবতী ওনার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে একতলার ঘরে শুয়েছিলেন। সেদিন (২১ ফেব্রুয়ারী) রাত ১টা নাগাদ তাঁর প্রিয় একটি মেয়ে কুকুর সোনামনির আর্তনাদ শুনতে পান বাড়ির করিডর থেকে।
মহেশ্বরী সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে এসে দেখতে পান, তার বাড়ির ভাড়াটে বদ্যিনাথ দেবনাথ ওই করিডরে তার প্রিয় সোনামনিকে ধর্ষন করছে। সেই দেখে উনি হাঁকডাক পাড়তে ওনার পাশের ঘরের কয়েকজন বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন এবং তাঁরাও এই ঘৃন্য দৃশ্যটি দেখেন। এ ছাড়া চলে আসেন ওনাদের প্রতিবেশি সারমেয়প্রেমী রূপা বসু, যিনি ওই এলাকায় অনেক রাত অবধি কুকুর খাওয়াচ্ছিলেন। সবার প্রতিবাদ শুনে অপরাধী ভয়ে কুকুরটিকে ছেড়ে নিজের ঘরে ঢুকে যায় এবং পরের দিন ভোর হতেই সে নিজের বাড়িতে ফিরে যায়। কুকুরটিকে অপরাধীর হাত থেকে উদ্ধার করার পর কুকুরটি এখন ঠিক আছে।
পরের দিন মহেশ্বরী এবং রূপা কলকাতা স্ট্রীট ডগ্স এর মাধ্যমে অন্য কিছু পশুপ্রেমীদের ব্যাপারটি জানান। পশুপ্রেমীদের সহযোগিতা নিয়ে মহেশ্বরী তারপর দমদম থানায় লিখিত কম্প্লেন্ট দেন, প্রথমে থানা তেমন কোনো সহযোগিতা না করায় ও হেনস্থা করায় মানেকা গান্ধীকে সম্পুর্ন বিষয়টি জানানো হয়, এবং ওনার হস্তক্ষেপ এর ভিত্তিতে পুলিশ অপরাধী কে গ্রেপ্তার করে সেদিন রাত্রে এবং পশু সুরক্ষা আইন ধারা ১১(১) এবং ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় মামতা রুজু করা হয় বদ্যিনাথ দেবনাথের বিরুদ্ধে।
২রা মার্চ ২০২০ অপরাধীপক্ষের উকিল ব্যারাকপুর কোর্টে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট সেই আর্জি নাকচ করেন।মহেশ্বরী জানান, ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকে উনি লক্ষ্য করছিলেন যে সোনামনি নামের কুকুরটা রাত্রের দিকে একটু ঝিমোয়,এবং ওনার সন্দেহ যে অপকর্ম করার জন্য বৈদ্যনাথ হয়ত কিছুদিন ধরে সোনামনি কে কোনো মাদক জাতীয় বস্তু খাওয়াচ্ছিল।
Your comment?