এক মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো পাতুলিয়ার বিধান পল্লীতে

বেস্ট কলকাতা নিউজ ,শ্যামল কর: গত-২৯ /০২ /২০২০ -রাতে পাতুলিয়া শিব মন্দির পাড়ার বিধান পল্লীতে এক মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। এতোদিন এই-সব পৈশাচিক ঘটনা বাইরে শোনা যেত। কিন্তু ক্রমাগত এই দুর্ঘটনা এখন আকছার শুরু হয়েছে পাতুলিয়া অঞ্চলে। শ্বশুর বাড়িতে নিজের বেডরুমের ভিতরে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে গৃহ বধূকে। তদন্তে জানতে পারা যায় শ্বশুর জয়দেব সাহা কলকাতার পুলিশে কর্মরত। তাঁর পুত্রের নাম অভিষেক সাহা। বছর নয় আগে তাদের ভালোবাসা করে বিয়ে হয়। জানা যায় বিয়ের পর থেকে আর মেয়েকে বাপের বাড়ি যেতে দিত না স্বামী। অনেক গণ্ডগোলের ভিতরে চলতো সাংসারিক জীবন। কি ভাবে এই মৃত্যু তা এখনও পরিষ্কার নয়। ওই রাতে ছেলের কাকা নান্টু সাহা ফোনে বারাকপুর হরিসভার ইষ্ট চাঁদ মারীর থার্ড লেনের মেয়ের বাবাকে ফোনে বৌমার অসুস্থতারকথা বলেন ও তারাতারি শিবমন্দিরের বাড়িতে মেয়ের মাকে নিয়ে চলে আসতে। রাত তখন সাড়ে দশটা। মেয়ের বাবা ও মা এসে দেখেন তাঁদের মেয়ে মারা গিয়েছে। মেয়ের নাম অনিন্দিতা কর্মকার ( উনত্রিশ ) সি এম ইনটারনেশনাল ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন বনদীপুর ঘোষ পাড়ায়। পুলিশ রাতে এসে দেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কি কারণে মৃত্যু হোল সেই রহস্য এখনও পরিষ্কার নয়। ছেলের সম্পর্কে অনেক চারিত্রিক খবর উঠে এসেছে। অভিষেক কোথায় চাকরি করতো তাও কখনো শ্বশুর বাড়ির লোকরা জানতো না বলে জানা যায়। শিব মন্দির এলাকার পনেরো নম্বর ওয়ার্ড সদস্য স্বপন দাস ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তপতি দাস বিশ্বাস এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। ওদিকে বারাকপুর ঠিক এম সি সভাপতি গোপাল পাল বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ছেলের শাস্তির দাবিতে মুখরিত হয়ে ওঠে এলাকা। অনিন্দিতার পরিবারের পক্ষ থেকে খড়দহ থানায় একটি এফ আই আর কর হয়, জামাইয়ের গ্রেফতারি বিষয়ে। দে’ড় বছরের শিশু কন্যাটি বাবার বাড়িতেই রয়েছে। সে এখনও জানেনা যে তার “মা” আর কখনও তার সাথে গল্প করবে না বা স্নান করানো বা খাওয়াবে না। শিশু বয়সেই জীবনে ঘটলো বজ্রপাত। ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় মৃত দেহ। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
Your comment?